Khelar Khobor's Facebook Wall

মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১১

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=6291f9a86c74f7799220f3c1913bcb85&nttl=2011080902081252746&toppos=1

লন্ডনে আবারও ভয়াবহ দাঙ্গা

সোমবার তৃতীয় দিনের মতো দাঙ্গা চলছে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে। এদিন দাঙ্গা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে রাজধানীর রাস্তায় বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনের লেউইশ্যামে একাধিক প্রাইভেট কার এবং একটি বাস ও অনেকগুলো দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

হ্যাকনেতে পুলিশের গাড়িতে কয়েক জন তরুণ হামলা করলে মেয়ার স্টিটের কিছু অংশ সিল করে দিয়েছে পুলিশ।

এক ব্যক্তিকে রাস্তায় থামিয়ে দেহ তল্লাশি করার জের ধরে এ দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। অবশ্য পুলিশ ওই ব্যক্তির কাছে কিছুই পায়নি।

বার্মিংহাম শহরের কেন্দ্রে বিপণীবিতান এলাকায় কম বয়সী ছেলেরা হামলা করে এবং দোকানের জানালার কাচ ভেঙে ফেলে। এর পরই এ এলাকায় বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই দাঙ্গা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খবর পেয়ে লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন ছুটি থেকে তড়িঘড়ি করে ফিরে আসছেন বলে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্রসচিব থেরেসা মেও ছুটি থেকে ফিরে এসেছেন। সহিংসতা দমনে করণীয় নিয়ে মেট্রাপলিটন পুলিশ প্রধানের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন বলে জানা যাচ্ছে।

থেরেসা এই দাঙ্গাকে জঘন্য অপরাধ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। এর সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। একে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সহিংসতার সূত্রপাত ঘটেছে মূলত গত শনিবার টোটেনহামে মার্ক ডুগান (২৯) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গুলি করে হত্যার পর। সেদিন রাতেই বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে আসে। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় জনতার।

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশের বাধার কারণে শুরু হওয়া সেই দাঙ্গা রোববার পর্যন্ত গড়ায়। সোমবার সন্ধ্যায় টোটেনহামের দ্য হাই ক্রসে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

সোমবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার টিম গডউইন দাঙ্গাকারী তরুণদের বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। বাবা-মায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা যেনো তাদের সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং শিগগির সাধারণ মানুষের জন্য লন্ডন শহরের সব রাস্তা ছেড়ে যেতে বলেন।

হ্যাকনে এলাকায় প্রায় ২শ‘ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দাঙ্গাকারী তরুণদের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে। উচ্ছৃঙ্খল তরুণরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দলে দলে বিভক্ত হয়ে অনেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ছে। কাঠের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তরুণরা পুলিশের গাড়িতে হামলা করছে।

এই সুযোগে কিছু দুর্বৃত্ত বিভিন্ন দোকানপাটে লুটপাট শুরু করে দিয়েছে। এরকম একাধিক দোকান থেকে লুটপাটকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

গত দুই দিনের দাঙ্গায় ২১৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ২৫ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বার্মিংহাম শহরে কেন্দ্রে একাধিক দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বার্মিংহাম ক্যাথেড্রালের নিকটে ম্যাকডোনাল্ডস ও চেসোপসের দোকানের জানালা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।